করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচীর অংশ হিসেবে রোববার থেকে ১০ টাকায় চাল বিক্রি শুরুর নির্দেশনা
মন্ত্রণালয় থেকে খাদ্য অধিদপ্তরে পাঠানো এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে:
১। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে সৃষ্ট কর্মহীন মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বিশেষ এ ওএমএস কর্মসূচি চলমান ওএমএস (আটা) কর্মসূচির অতিরিক্ত হিসেবে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ পর্যন্ত চলমান থাকবে।
২। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিকালে জনসাধারণ ঘরে অবস্থান করায় সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এর ফলে তাদের ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। দিনমজুর, রিকশা চালক, ভ্যানচালক, পরিবহন শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চায়ের দোকানদার, ভিক্ষুক, ভবঘুরে, তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়সহ অন্যান্য সব কর্মহীন মানুষকে এর আওতায় এনে এ বিশেষ ওএমএস কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
৩। কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভোক্তার বিস্তারিত তথ্য সংবলিত মাস্টাররোল (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মোবাইল নাম্বারসহ) সংরক্ষণ করতে হবে।
৪। একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তিকে ভোক্তা হিসেবে নির্বাচন করা যাবে না। এছাড়া উক্ত পরিবারের কেউ যদি খাদ্যবান্ধব অথবা ভিজিডি কর্মসূচির উপকারভোগী হয়ে থাকেন তাহলে তিনি এ কর্মসূচির আওতায় ভোক্তা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন না।
৫। জেলা ও বিভাগীয় শহরের কেন্দ্রে প্রতি দুই মেট্রিক টন এবং ঢাকা মহানগরের কেন্দ্র প্রতি তিন মেট্রিক টন করে চাল দৈনিক বিক্রি করা যাবে।
৬। জেলা ও বিভাগীয়/ঢাকা মহানগরীর ওএমএস বরাদ্দের পরিমাণের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ওএমএস কমিটির (জেলা ও বিভাগীয়/ঢাকা মহানগরীর ওএমএস কমিটি) মাধ্যমে বিদ্যমান ওএমএস কেন্দ্রের সংখ্যা ঠিক রেখে বিক্রয়কেন্দ্রের স্থান পুনঃনির্ধারণ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী, শ্রমজীবীদের বসবাস কেন্দ্রের নিকটস্থ বস্তি এলাকায় অথবা পর্যাপ্ত খালি জায়গা আছে এমন স্থানকে অস্থায়ী বিক্রয়কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করতে হবে।
৭। ভোক্তা প্রতি পাঁচ কেজি চাল বিক্রয় করতে হবে এবং একজন ভোক্তা জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে সপ্তাহে একবার মাত্র পাঁচ কেজি চাল ক্রয় করতে পারবেন।
৮। সপ্তাহে তিনদিন রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত বিক্রয় কার্যক্রম চালানো হবে।
৯। স্থানীয় প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা এর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা প্রতিনিধির উপস্থিতি/তদারকিতে বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
১০। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি পরিচালনপূর্বক বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
১১। ওএমএস নীতিমালায় বর্ণিত জেলা/বিভাগীয়/ঢাকা মহানগরীর কমিটি সার্বিক বিষয়টি মনিটরিং করবে।
১২। ডিলারগণ দৈনিক বিক্রয় প্রতিবেদন তদারকি কর্মকর্তার প্রতি-স্বাক্ষর গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট ওএমএস কমিটির সভাপতির নিকট পাঠাবেন।
প্রতিদিনবিডি24/
Leave a Reply