দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন কারাগার থেকে মুক্ত হন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ।
২০০৭ সালের ১৬ জুলাই প্রত্যুষে সেনাসমর্থিত মেয়াদোত্তীর্ণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে।
দলের সভাপতিকে গ্রেফতারের পর থেকেই আওয়ামী লীগ বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগের পথ বেছে নেয়। শেখ হাসিনাকে মুক্তি দেওয়া না হলে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যাবে না বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়।
এ সময় কারাগারের অভ্যন্তরে শেখ হাসিনা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন বিদেশে চিকিৎসার জন্য তাকে মুক্তি দেওয়ারও দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে।
আওয়ামী লীগের ক্রমাগত চাপ আপোষহীন মনোভাব ও অনড় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মু্িক্ত দিতে বাধ্য হয়।
এই বছরই ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয় লাভ করে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠন করা হয়।
কিন্তু শেখ হাসিনার পথ চলা কখনোই মসৃণ ছিল না। ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর এক ব্যক্তিগত ট্রাজেডির ধকল সামলানোর পাশাপাশি প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির নানা রাজনৈতিক কূটচাল, ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হয়েছে তাকে। তবে ১৯৭৫ সালে তাকে যে ভয়াবহ অবর্ণনীয় ব্যক্তিগত বেদনা বহন করতে হয় তা অকল্পনীয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার পরিজনকে নৃশংস-বর্বরোচিত পন্থায় হত্যা করার মধ্য দিয়ে দেশে এক অন্ধকার যুগের সূচনা হয়। ’৭৫ পরবর্তী স্বৈরশাসকগোষ্ঠী দেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেয়।
দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ভোটের অধিকার সুনিশ্চিত করতে সুদীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বন্ধুর বিপদসঙ্কুল পথ অতিক্রম করতে হয়েছে শেখ হাসিনাকে। এর মধ্যে অনেকবারই তার প্রাণনাশের চেষ্টাও হয়েছে।
এসব সত্ত্বেও বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি ছিলেন দৃঢ় ও অবিচল।
প্রতিদিনবিডি২৪/একে আজাদ;
Leave a Reply