অনলাইন ডেস্ক ;
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিলেও ছিন্নমুলে গাদাগাদি করে অনেক মানুষ থাকায় বস্তিতে নিশ্চিত হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। যদিও এখন পর্যন্ত বস্তিতে করোনা সংক্রমণের সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। কেননা কেউ অসুস্থ হলেই বস্তি ছেড়ে গ্রামে যাচ্ছেন। এছাড়া করোনার স্বাস্থ্যবিধি পালনেও আগ্রহ কম বস্তিবাসীর।
দেশে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে শহর থেকে গ্রামে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ঢাকা মহানগরীতে। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তদের পেশাগত বিশ্লেষণে দেখা যায়, করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে বস্তিবাসী বা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কম। যদিও তাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ কম।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ বস্তিশুমারি ও ভাসমান লোক গণনা প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে মোট বস্তির সংখ্যা ১৩ হাজার ৯৩৫টি। বস্তিখানার সংখ্যা ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৬১। এর ৪ লাখ ৩১ হাজার ৭৫৬টি সিটি করপোরেশন এলাকায়। আর পৌরসভায় এক লাখ ৩০ হাজার ১৪৫টি। ৩২ হাজার ৯৬০টি অন্যান্য শহর এলাকায়।
সিটি করপোরেশন বলছে, বস্তিতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা সম্ভব নয়। তবুও বিভিন্ন এনজিওর সহায়তায় সচেতনতার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
বস্তি এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে জ্বর, সর্দি, কাশি সবসময় লেগেই থাকে। এ কারণে করোনার উপসর্গ দেখা দিলেও উদ্বিগ্ন হন না তারা।
রাজধানী ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরে যেখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২৩ হাজার ৩৩৪ জন মানুষের বসবাস, সেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা একটি কল্পনার বিষয়ও বটে।
তবে ঘুরে দেখা গেছে অনেক বস্তিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য মাস্ক
প্রতিদিনবিডি২৪/মনির হোসাইন।
Leave a Reply