অনলাইন ডেস্ক ;
পদ্মাসেতুর সর্বশেষ ৪১তম স্প্যানের কাজ সোমবার (২৩ নভেম্বর) সম্পন্ন হয়েছে। ‘২এফ’ নামের সর্বশেষ ৪১তম স্প্যানটি মাওয়ার কুমারভোগ ইয়ার্ডে রংসহ সকল কাজ শেষ হয়েছে। এটি এখন খুঁটির উপর স্থাপন উপযোগী। তাই জেটির কাছে নিয়ে আসা হয়েছে। সেতুর গুরুত্বপূর্ণ এই স্প্যানের কাজ সম্পন্ন হওয়ায় প্রকল্প এলাকায় উৎসব আমেজ বিরাজ করছে। করোনার কারণে চীনে শেষ দুই স্প্যান আটকে যায়। অবশেষে চীনের পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় স্প্যান তৈরী সম্পন্ন করে সমুদ্রপথে মাওয়ায় আনা হয়। এরপর শুরু হয় ফিটিংয়ের কাজ। ওয়েল্ডিং, ঘষা-মাজার পর কালার সপে নেয়া হয়।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের বলেন, এটি কত যে ভাল লাগার ভাষায় প্রকাশ করা যাচ্ছে না। সবচেয়ে কঠিন কাজগুলোই সম্পন্ন হওয়ার তৃপ্তিই আলাদা। তাই প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের মাঝে বিশেষ আনন্দ। সেতুর বড় একটি ধাপ অতিক্রম করলো। চূড়ান্ত রং করার পর সোমবার বিকালে সবশেষ স্প্যানটিও জেটিতে নিয়ে আসা হয়।’
বিজয় দিবসের আগেই মাওয়া প্রান্তের ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির ওপর এই ৪১তম স্প্যানটি বসার কথা রয়েছে। এছাড়া চলতি নভেম্বরের শেষের দিকে ২৬তারিখে ১০ ও ১১ নম্বর খুঁটিতে ৩৯তম স্প্যান (স্প্যান ২ডি) ও ২ ডিসেম্বর ১১ ও ১২ নম্বর খুঁটিতে ৪০তম স্প্যান (স্প্যান ২ই) বসার স্থাপনের কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ৩৮টি স্প্যান বসে ৫৭০০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে। ৬১৫০ মিটার দীর্ঘ এই সেতুর এখন আর মাত্র ৪৫০ মিটার দৃশ্যমান হওয়ার বাকী। স্প্যান বসানোর পাশাপাশি সেতুর অন্যান্য কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল পদ্মা সেতুতে মোট ৪২টি খুঁটি নির্মাণ করা হয়েছে। এর উপর ৪১টি স্প্যান বসবে। আর স্প্যান বসানো বাকী আছে ৩টি। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়।
দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, পদ্মাসেতুর সবশেষ স্প্যান ‘২এফ’ প্রস্তুত এখন। এটি খুঁটিতে উঠানোর উপযোগী করে মাওয়ার কুমারভোগ ইয়ার্ডে জেটির কাছে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বলেন, ‘এটি বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে একটি বড় অর্জন। শত প্রতিকূলতা সত্তেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতায় স্বপ্ন আজ বাস্তবায়ন সময়ের ব্যাপার মাত্র। আর এটি খুলে দেয়া হলে দক্ষিণাঞ্চলে মানুষের ভাগ্য বদলে যাবে। দেশের অর্থনীতির চাকা বেগবান হবে। যা দেশের জন্য এক যুগান্তকারী অধ্যায় রচিত হবে। বিশ্ব ব্যাংকের সাথে চ্যালেঞ্জ দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু বাস্তবায়ন করার ঘটনায় বাঙালি জাতি আজ বিশেষ এক মর্যাদায় স্থান করে নিয়েছে।
প্রতিদিনবিডি২৪/একে আজাদ;
Leave a Reply