অনলাইন ডেস্ক ;
অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিভক্তিতে জর্জরিত হলেও বিভেদ নিরসনে বিএনপির হাইকমান্ড একেবারেই উদাসীন। সংকট সমাধানে তাদের নেই কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, মনোনয়ন বাণিজ্য, কমিটি বাণিজ্য ও অদক্ষ নেতৃত্বের কারণে বিভেদের জেরে এরইমধ্যে অনেক স্থানে বিরোধ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ঘটছে সংঘর্ষ ও রক্তারক্তির ঘটনাও। তবে এসব ঘটনায় এখনো নীরব বিএনপির হাইকমান্ড।
এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নিশ্চিহ্ন হওয়ার সব লক্ষণ বিএনপির রাজনীতিতে দৃশ্যমান হচ্ছে। আগামীতে এ ধরনের সমস্যা আরো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে শঙ্কা তাদের।
তারা বলছেন, দলীয় কোন্দল ও বিভক্তির রাশ টেনে ধরতে না পারলে বিএনপি সাংগঠনিক ভাবে আরো দুর্বল হয়ে পড়বে। তখন কোন্দল মেটাতে গিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলবে দলটি। এতে বিএনপির পুনর্গঠন প্রক্রিয়া ভেস্তে যেতে পারে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, একদিকে দলের মধ্যে হামলা-মামলা, অন্যদিকে নেতৃত্বের বিরোধের কারণে সংগঠনকে শক্তিশালী করা যাচ্ছে না। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে অনেক নেতা-কর্মী দলীয় রাজনীতির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। অবশ্য দলীয় কোন্দলের পেছনে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ইন্ধন আছে। ফলে হাইকমান্ড চাইলেও সহজে এ দ্বন্দ্ব নিরসন করতে পারছে না।
গোপন সূত্র বলছে, কমিটিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদে এমনকি মনোনয়নের ক্ষেত্রেও যোগ্য ও ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হয় না। শীর্ষ নেতাদের ম্যানেজ করে অযোগ্য ও সুবিধাবাদীরা কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করছেন। এর ফলে দলের দুঃসময়ে যারা পাশে ছিলেন, তাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। এতে বাড়ছে অভ্যন্তরীণ সংঘাত।
এ বিষয় বিএনপি’র সিনিয়র এক নেতা বলেন, উপ-নির্বাচন নয়, পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও অনেক স্থানে মুখোমুখি অবস্থানে আছে একাধিক গ্রুপ। শুধু মনোনয়ন নয়, দল পুনর্গঠনকে কেন্দ্র করেও শুরু হয়েছে কোন্দল। ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের জেলা ও উপজেলা কমিটি ঘোষণার পর প্রকাশ্যে বিদ্রোহ শুরু হয়েছে।
প্রতিদিনবিডি২৪/সানি;
Leave a Reply