করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পরপরই মাস্ক ব্যবহারের পরিমাণ অনেকটা বেড়ে গেছে। ঢাকা-কলকাতা, লন্ডন-নিউইয়র্কে ছবিও আলাদা নয়। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি ও একজনের মৃত্যুর পর মাস্ক ব্যবহারের ঝোঁক আরও বেড়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন এই মাস্ক ব্যবহারে করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি কমছে না বরং বাড়ছে। নিউইয়র্ক টাইমস, আনন্দবাজার পত্রিকা।
অধিকাংশ মানুষের মুখে যেসব মাস্ক দেখা যাচ্ছে, তার তালিকায় রয়েছে এন৯৫ মাস্ক। তিন স্তর বিশিষ্ট ডিসপোজাল সার্জিক্যাল মাস্ক। গেঞ্জি কাপড় ও স্পঞ্জের মাস্ক। কাপড়ের তৈরি মাস্ক। ওড়না বা রুমাল বেঁধে মাস্কের মতো ব্যবহার। সোজা কথায় বললে, এতে কোনো কাজের কাজ হবে না বলে জানিয়েছেন বিশ্বের বড় বড় সব মেডিসিন ও সংক্রামক অসুখের বিশেষজ্ঞরা। শঙ্কা প্রকাশ করছেন ভায়ারোলজিস্টরাও। তাদের মতে, এ ধরনের ভাইরাস কখনই মাস্ক দিয়ে ঠেকানোর নয়।
মাস্ক পরবেন না? : কারা কারা পরবেন, আর কারা পরবেন না, সে বিষয়ে ইতোমধ্যেই স্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন মেডিসিন ও সংক্রামক অসুখের বিশেষজ্ঞরা। এন৯৫ মাস্ক একমাত্র তখনই প্রয়োজন, যদি কেউ সরাসরি রোগীর কাছে থাকেন বা তার সেবা করেন। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তা ব্যবহার করবেন এবং যারা রোগীর এক মিটারেরও কম দূরত্বে দীর্ঘক্ষণ থাকবেন। সার্জিক্যাল বা অন্য ধরনের মাস্ক এ ক্ষেত্রে কোনো কাজে দেয় না।
ডাস্ট অ্যালার্জি থাকলেও মাস্ক পরে লাভ নেই : ধুলা থেকে বাঁচতে সাধারণ মাস্ক কোনো কাজে আসে না। এসব মাস্ক ধুলার ক্ষুদ্র কণা আটকাতে পারে না। আর ধুলার সঙ্গে করোনার কোনো যোগসূত্র নেই। এটা বায়ুবাহিত রোগের তালিকাতেও পড়ে না। কেউ ধুলা এড়াতে মাস্ক পরতে চাইলে তারা সার্জিক্যাল মাস্ক পরুন।
মাস্কে রিস্ক ফ্যাক্টর কি কি : এন৯৫ মাস্কের মাধ্যমে ৯৫ শতাংশ ভাইরাস মরে। কিন্তু এই মাস্ক সব সময় পরে থাকা যায় না। একটানা ১০ মিনিট পরে থাকলেও নানা সমস্যা হয়। নাক-কানে চাপ পড়ে। কানে ব্যথা হয়। একটা সময়ের পর দমবন্ধ লাগে। তাই এই মাস্ক পরলে বারবার তা নামিয়ে রাখতে বাধ্য হন মানুষ। কখনও কখনও নাকে-মুখে হাত দিয়ে তা ঠিক করতে হয়। এতেই ক্ষতি বাড়ে।
প্রতিদিনবিডি24/
Leave a Reply