1. [email protected] : admin :
বৃহস্পতিবার, ০৭ জুলাই ২০২২, ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন
আমাদের ভিষন;
*সত্য প্রকাশে আমরা দূর্বার*
প্রধান খবর
দাম বাড়লো চামড়ার প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৪৭–৫৫ টাকা শিক্ষকরা নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোচিং বা প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না; যেসব রুট ধরে পদ্মা সেতু হয়ে ইউরোপে যাবে ট্রেন পদ্মা সেতু: ৩৫ বছরে সরকারের দেওয়া অর্থ পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ; পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট-বল্টু খুলে টিকটক ভিডিও তৈরি করা যুবক আটক সর্বনিম্ম ২ ঘন্টা থেকে ২০ ঘণ্টার দুর্ভোগ ৬ মিনিটে শেষ পদ্মা সেতুতে কোনো যানবহন দাড় করিয়ে ছবি তোলা যাবেনা; কুমিল্লা সিটি মেয়র নির্বাচনে হার-জিতের ইতিবৃত্ত; স্বপ্নের পদ্মা সেতু: সূচনা থেকে সর্বশেষ ইতিবৃত্ত তিনিই কি দূর্নীতির বরপুত্র? নাকি হাতির দন্ত! পদ্মা সেতুর টোল সংযোজন করে ভাড়া বাড়লো ১০টাকা; দক্ষিণ বঙ্গের ১৩টি রুটের বাসভাড়া নির্ধারণ; রাসুল (সঃ) কে নিয়ে কটূক্তি করায় বিজেপি নেতা গ্রেপ্তার ২৫তারিখেই উদ্বোধন হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু; পদ্মা সেতু নির্মাণ ব্যয় নিয়ে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর মিথ্যা প্রচারণাগুলোকে নিন্দা জানাই॥ Abc চট্টগ্রাম হাটহাজরীতে সাতবাচ্চার জম্ম দিয়েছেন এক মা; বার কাউন্সিল নির্বাচন: আ.লীগের সাদা প্যানেল ১০ ও বিএনপির নীল প্যানেল ৪ পদে জয়; দূর্নীতি মামলায় নর্থ সাউথের ৪ ট্রাস্টি সদস্য কারগারে; ভূমি সংস্কারে নতুন আইন, ব্যক্তি পর্যায়ে ৬০ বিঘা মালিকানার সুযোগ, বেশী হলে বাজেয়াপ্ত। পিকে (প্রশান্ত কুমার) হালদার ইস্যুতে চার সংস্থায় তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুদক।

ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে আটকে পড়া বাংলাদেশীদের দেশে ফেরার আবেদন।

  • সোমবার, ৩০ মার্চ, ২০২০
  • ২৪৪ বার পড়া হয়েছে

ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া কিংবা অন্যান্য কাজে যাওয়া বেশিরভাগ বাংলাদেশীই আটকা পড়ে গেছে করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সরকার কর্তৃক ঘোষিত লকডাউনে। তার মাঝেই একজন হলেন মিরপুর রূপনগরের মোহাম্মদ শাহাজাহান। তিনি ঢাকা রূপনগর থানার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। চিকিৎসার জন্য তিনি ৮মার্চ ভারতে পাড়ি জমান। গত ২০মার্চ তার চিকিৎসা শেষ হলেও আটকা পড়ে যান তিনি। ২৫মার্চ দেশে ফেরার জন্য টিকিট ও কেটে রেখেছিলেন তিনি।

তিনি আরও জানান তার মত আশেপাশে হাজারের উপর বাংলাদেশি চিকিৎসা শেষে দেশে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। বেশিরভাগ লোকের কাছেই অর্থ নেই এবং দেশের থেকে টাকা নেয়ারও উপায় নেই। তাই অর্ধাহারে কিংবা অনাহারে দিন কাটছে তাদের। সরকারের কাছে তিনি অনুরোধ করে বলেন অতি দ্রুত যেনো সরকার তাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করেন।

ব্যাঙ্গালুরুর নারায়ানা কার্ডিয়াক সেন্টারে ওপেন হার্ট সার্জারি করিয়েছেন ফেনীর ৫৭ বছর বয়সী মোস্তফা মজুমদার । ছেলে শাহরিয়ার মজুমদারকে নিয়ে সেখানে তিনি আটকা পড়েন। গত ১৮মার্চ ছাড়পত্র দেয়ার পর ২২মার্চ টিকিট ছিল ব্যাঙ্গালুরু-ঢাকার। বিমান বাতিল হওয়ায় আবার ২৮মার্চের টিকিট করেন, কিন্তু ভারতে লকডাউনের পর সেটিও বাতিল হয়েছে। সেখানে একই হোটেলে আরও অনেকে আটকা পড়েছেন। সেখানে আটকে পড়া বিজয় কৃষ্ণ বিশ্বাস ও তার ফুফা । তিনি জানান, ভারতের ব্যাঙ্গালুরু শুধু ড. দেবী শেঠীর নারায়ানা হৃদয়ালয় হাসপাতালের আশপাশেই কমপক্ষে দুই থেকে তিনশ বাংলাদেশি ১৪ দিন ধরে এক প্রকার হোম কোয়ারেন্টাইনে। কমপক্ষে আরও ১৯ দিন পুরোপুরি গৃহবন্দি থাকতে হবে। তারপর কী হবে তাও জানি না।

তিনি আরও জানান, আটকা পড়া অনেকেরই টাকা-পয়সা শেষ বা শেষের পথে, কেউ কেউ টাকা থাকলেও ঠিকমতো বাজার করতে পারছে না আতঙ্কে। আগামী দিনগুলো কীভাবে থাকবে কী খাবে, কীভাবে দেশে ফিরবে এই চিন্তায় ব্যাকুল। অনেকেই শেষ সম্বল দিয়ে বিমানের টিকিট কেটেছেন, ফ্লাইট বাতিল হলেও টাকা ফেরত পাওয়া যাচ্ছে না। বলছে, ফ্লাইট চালু হলে এডজাস্ট করা হবে। টিকিটের টাকাটা ফেরত পেলেও সেটি দিয়ে এই লোকগুলো অন্তত কয়েক দিন বেঁচে থাকতে পারতো। হোটেল মালিকরা যেকোনো মুহূর্তে হোটেল বন্ধ করে দিতে পারে। হোটেল বন্ধ হয়ে গেলে আমাদেরকে এই থাকার জায়গাটুকুও হারাতে হবে। সবসময় ভয়াবহ এক আতঙ্কের মধ্যে আছি আমরা। এর মধ্যে অনেকের ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে যাচ্ছে।

সেখানকার মেহবার হোসেন বলেন, ব্যাঙ্গালুরুর নারায়ানা হৃদয়ালয় হাসপাতালে দেখিয়েছিলাম। ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছে। চিকিৎসার কাজ শেষ হয়েছে গত ২৪মার্চ। আর খাওয়া-দাওয়ার অবস্থা খুবই করুণ। সব দোকান বন্ধ। ভাত-ডাল খেয়ে দিন কাটাচ্ছে প্রায় সব বাঙালি।

ফাহমিদা তৃপ্তি জানান, তার স্বামী নারায়ানা হৃদয়ালয় হাসপাতালে আছেন। সেখানে ওপেন হার্ট সার্জারি হওয়ার পর মার্চের ১২তারিখে তাদের চিকিৎসা শেষ হয়েছে। কিন্তু ফিরতে পারছেন না।

বেক্সিমকো ফার্মেসির ফার্মাসিস্ট কামনাশীষ দাশ কিরন বলেন, ‘আমি নারায়ানা হৃদয়ালয় হাসপাতালে আমার বাচ্চার চিকিৎসার জন্য এসেছি। বাচ্চার ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছে। এখন চিকিৎসা শেষ। এখানে আগামী এপ্রিল ১৪ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন করা হয়েছে। সবাই কার্যত এখন ঘরে বন্দি। দোকান, বাজার সব বন্ধ। হাজারের মতো বাংলাদেশি এখানে আটকে আছি। প্রায় সবার চিকিৎসা শেষ। যা টাকা নিয়ে এসেছিলাম তাও শেষ। এতো হোটেল ভাড়া দিয়ে এতদিন থাকা সম্ভব হবে না। তার ওপর খাবার কষ্ট তো আছেই। অজানা-অচেনা জায়গা। তাই আমাদের সবার নিবেদন, যাতে আমাদের দেশে ফেরার সু্যোগ করে দেয়া হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, ভারতে এখন লকডাউন চলছে। দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক বিমান চলাচলও বন্ধ। স্থলবন্দরও বন্ধ। তাই আমরা ইচ্ছা করলেই এখন তাদের ফিরিয়ে আনতে পারছি না। তবে এ ব্যাপারে ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের হাইকমিশনের সঙ্গে তাদের যোগাযোগের পরামর্শ দিচ্ছি। অবস্থা দেখে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রতিদিমবিডি24/

ভালো লাগলে এই পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই কেটাগরির আরো খবর

Categories

© All rights reserved 2020 protidinbd24

কারিগরি সহায়তা WhatHappen