বিশ্বব্যাপী মহামারী রূপ নেওয়া করোনাভাইরাসের প্রভাবে রপ্তানি খাতের শ্রমিক-কর্মচারীদের তিন মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধ করবে সরকার। তবে এই অর্থ ২ শতাংশ সুদে পরবর্তীতে ১৮টি কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে পোশাক কারখানার মালিকদের। এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক দু-এক দিনের মধ্যেই এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করবে বলে অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
এতে বলা হয়, তবে তারা কিস্তি দেওয়া শুরু করবেন ছয় মাস পর থেকে, যেটাকে বলা হয় গ্রেস পিরিয়ড। নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ব্যাংক অবশ্যই তাদের মোবাইল বা ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পরিশোধ করবে। এতে বলা হয়, উৎপাদিত পণ্যের অন্তত ৮০ শতাংশ রপ্তানি হয় এমন সব প্রতিষ্ঠান এ তহবিল থেকে অর্থ নেওয়ার যোগ্য হবে।
পাশাপাশি সংকট চলাকালীন তথা এপ্রিল, মে ও জুন- এ তিন মাসের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা এ তহবিল থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এমন কিছু গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ব্যাংকের নামে ৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করবে। তার বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালার আলোকে দেশের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কাছে ক্ষতিগ্রস্ত রপ্তানিকারকরা এই তহবিল থেকে ঋণের জন্য আবেদন করবেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে শিল্প-মালিকদের নামে ঋণ হিসেবে তহবিল থেকে অর্থ দেওয়া হবে। এই ঋণের মেয়াদ হবে দুই বছর। এর মধ্যে ছয় মাস গ্রেস পিরিয়ড থাকবে। সরকার কোনো ধরনের সুদ নেবে না। যে ২ শতাংশ সুদ শিল্প-মালিকদের কাছ থেকে নেওয়া হবে, তা ঋণ বিতরণকারী ব্যাংক সার্ভিস চার্জ হিসেবে নেবে।
প্রতিদিনবিডি24/
Leave a Reply