1. [email protected] : admin :
রবিবার, ০৫ জুলাই ২০২০, ০৪:২৩ অপরাহ্ন
আমাদের ভিষন;

*সত্য প্রকাশে আমরা দূর্বার*বিজ্ঞাপন, প্রচার ও সাক্ষাতকারের জন্য ০১৭১১ ৩৩৬২৩৩ নাম্বারে যোগাযোগ করুন।*

প্রধান খবর
ফ্ল্যাট ও জমির রেজিস্ট্রেশন ফি কমিয়েছে সরকার। ডিপিডিসি’র ৪প্রকৌশলী বরখাস্ত, ৩৬জনকে শোকজ। ব্রিটেনের বর্ষসেরা চিকিৎসক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফারজানা; যাহা বলিব সত্য বলিব; দেশেই আবিস্কার করোনা ভ্যাকসিন : ডা.আসিফের কান্না ছুঁয়েছে দেশবাসীকে। ‘পাটকল শ্রমিকরা সাড়ে ১৩ লাখ টাকা করে পাবেন’ বাজেটের কপি ছেঁড়া বিএনপি’র ঔদ্ধত্যের নতুন বহিঃপ্রকাশ: তথ্যমন্ত্রী। আমলা নির্ভর’ বাজেট প্রত্যাখ্যান বিএনপির। আবাসিক বাসা-বাড়ীতে নতুন গ্যাস সংযোগ নিয়ে সুখবর; ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পশুর হাট বসতে দেয়া হবেনা: মেয়র ঢাকা উত্তর সিটি; আলহামদুলিল্লাহ্, আমি যেভাবে করোনা থেকে সুস্থ্য হলাম!! ২০ কোটি টাকা খাবারের বিলের খবর মিথ্যা: হাসপাতাল পরিচালক। পানির নিচে ৩০ঘন্টা। দোকানপাট–শপিংমল খোলা রাখার সময় বাড়ল সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। থাকা-খাওয়ার বিল ২০কোটি টাকা, খতিয়ে দেখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর। বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে ১৩ ঘণ্টা পর একজনকে জীবিত উদ্ধার। অনলাইন পত্রিকায় সাংবাদিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিঃ করোনায় সিরাজ গঞ্জের সাবেক বিএনপি সংসদ সদস্যের মৃত্যু; “লায়লা আরজুমান্দ বানু” বাসায় ফেরেননি, তিনি ইহলোক ত্যাগ করেছেন। পাটকল চলবে পিপিপির আওতায়, শ্রমিকদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেক।

আলহামদুলিল্লাহ্, আমি যেভাবে করোনা থেকে সুস্থ্য হলাম!!

  • বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই, ২০২০
  • ৬৪ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক ;

রমাদ্বান আসার দুইদিন আগে হঠাৎ জ্বর। বিকালের দিকে মাত্রা খানিকটা বেড়ে গেলেও সহনীয় পর্যায়েই ছিল। কিন্তু এই সময়ে জ্বর মানেই তো চিন্তার বিষয়।

আর জ্বরটাও কেমন যেন, এরকম জ্বর এর আগে কখনও অনুভূত হয়নি। একবার আসে, কিছুক্ষণ থাকে আবার চলে যায়। যখন আসে তখন কেমন যেন অস্বস্তি লাগে। হাল্কা জ্বর তবুও কেমন যেন অস্বস্তিকর।

পরের দিন জ্বরের সাথে যোগ হল গলা ব্যাথা আর শরীর ব্যাথা। গরম পানি দিয়ে কুলকুচি করলাম। মধু, কালোজিরা, আদা মিশ্রিত গরম পানি খেলাম। দিনে কয়েকবার এরকম করলাম। কিন্তু না, গলা ব্যাথা কমা’র কোন লক্ষণ নেই। রমাদ্বানের প্রথম দিন থেকেই পিঠ, মাংসপেশী, কোম’র,

পা, মা’থা একে একে ব্যথা শুরু হল। সলাতে রুকু দেওয়ার সময় কোম’র বাঁকা করতেও বুড়োদের মত ক’ষ্ট হতে লাগল। রুকু থেকে দাঁড়ালে মা’থা ঘুরে উঠত। সিজদা দিলে ও সিজদা থেকে উঠলেও মা’থা ঝিমঝিম করত। সলাতের পর নিজে নিজে রুকিয়া করলাম। এই ঝাঁড়ফুকে জ্বর চলে যেত। কিন্তু কিছু সময় পর আবার চলে আসত। আমাকে দুর্বল করে ফেলত।

ইফতারি খাওয়ার সময় লক্ষ্য করলাম মুখে কোন স্বাদ নেই। ভাবলাম, জ্বর তাই হয়ত মুখের রুচি চলে গেছে। কিন্তু না, জিহবার রংটাও পরিবর্তিত হয়ে গেছে। কেমন যেন ফ্যাকাশে লাগছে দেখতে। সাথে ব্যথাও করছে। এরপরের দিন যোগ হল খুশ খুশ কাশি। ও কাশে প্রা’ণ নেই। শুকনা একদম। মাঝে মাঝে হাল্কা কফ আসে। তাহলে কি করো’নায় আ’ক্রান্ত হলাম? রমাদ্বানের বাজার করে গিয়ে করো’না আম’দানী করে নিয়ে আসলাম?

কিন্তু আমা’র তো কোন শ্বা’সক’ষ্ট তো নেই, দম বন্ধও তো হয়ে আসছে না, বমি নেই, ডাইরিয়া নেই। নাকি এগুলো ধীরে ধীরে প্রকাশ পাবে। করো’না চেকার এ্যাপে নিজের অবস্থা উপস্থাপন করে জানতে চাইলে তারা বলল, এই সিম্পটম দেখে বোঝা যাচ্ছে, আপনি করো’না ভাই’রাস মাইল্ড টাইপ – এ আ’ক্রান্ত হয়েছেন। এই বিষয়ে বলে রাখা ভালো, করো’না ভাই’রাসে তিন ধরনের সিম্পটম প্রকাশ পায় –

১। কোন লক্ষণ প্রকাশ না পেয়েই রোগী সুস্থ হয়ে ওঠে। এরকম কেইস ৮০% এর উপরে।

২। কারো কারো মাইল্ড বা মৃদ লক্ষণ প্রকাশ পায়। ঘরোয়া ট্রিটমেন্ট নিলে এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। ৩। সিভিয়ার কেইজ। এই কেইজে রোগীকে বাঁ’চানো কঠিন হয়ে যায়। আলহাম’দুলিল্লাহ! আমি ঘরোয়া ট্রিটমেন্ট হিসেবে ইফতারির পর ও সাহরীতে গরম পানি পান করতাম, চা খেতাম। আদা, লেবু, কালোজিরা, গোলম’রিচ পানিতে দিয়ে গরম করতাম। ঐ গরম পানি একটা পাত্রে ঢেল তাতে তিনবার সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসী, তিনবার তিন ক্বুল ও সকাল বিকালের নিরাপত্তার দু’আগুলো পাঠ করে ফুঁক দিতাম। এরপর মা’থার ওপর তোয়ালে দিয়ে পাঁচ মিনিট ধরে ঐ পানির ভাপ নিতাম।

এতে সাময়িক আরাম লাগলেও পুরোদমে গলা ব্যথা বা শরীর ব্যথা ও জ্বর কমত না। হঠাৎ মনে পড়ে গেল যাইনাব আপার কথা। এ মাসের শুরুতে যাইনাব আপা সিভিয়ার পর্যায়ে করো’নায় আ’ক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি একটি রেসিপি বানিয়ে খেয়ে একদিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। ভাবলাম আমিও বানাবো, আমিও খাবো ইন শা আল্লাহ! রেসিপির জন্য নিলাম –১। কালোজিরা (দুই চামচ) ২। জিরা (দুই চামচ) ৩। লবঙ্গ (দুই চামচ) ৪। মেথি (দুই চামচ) ৫। যয়তুন তেল (দুই চামচ) ৬। মধু (দুই চামচ) কালোজিরা, জিরা, মেথি ও লবঙ্গ ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করলাম আর মধু আর যয়তুন ঢেলে পেষ্ট বানিয়ে নিলাম।

পেষ্ট হয়ে এলে একটি পাত্রে ঢেলে রেখে দিলাম। এরপর ইফতারির পর কিবলামুখী হয়ে বসে পাত্রটি হাতে নিয়ে তাতে – ৭বার সূরা ফাতিহা, ৭বার দরূদ, ৭বার আয়াতুল কুরসি, ৭বার আয়াতুল কুরসি, কাল বিকালের নিরাপত্তার দুআগুলো পড়ে তাতে ফুঁক দিলাম। এরপর এই দু’আটি “ওয়া ইযা মা’রিদ্বতু ফাহুয়া ইয়াশফীন (আর আমি যখন অ’সুস্থ হই, তিনিই আমাকে সুস্থ করেন।)” পড়ে চামচে তুলে অল্পে অল্প করে জিহবাতে নিয়ে আস্তে আস্তে গিলতে লাগলাম। এভাবে দুই চামচ খেলাম। সুবহানাল্লাহ! যাইনাব আপার এই ওষুধ খাওয়ার আধাঘন্টার মধ্যে বিদায় নিল খুশ খুশ কাশি। গলা ব্যথাও খানিকটা কমে এল।

বিদায় নিল জ্বর। আরামে ঘুমালাম, আলহাম’দুলিল্লাহ। সাহরীতে খেলাম আরো দুই চামচ। সকালে শরীর একদম হাল্কা লাগছিল। কোন ব্যথা নেই শরীরে। গতকাল ইফতারি খাওয়ার সময় দেখলাম মুখের রুচি ফিরে এসেছে। তৃপ্তি করে ইফতারি খেলাম। দেখলাম জিহবা তার আগের রূপ ফিরে পেয়েছে। কিন্তু জ্বরটা আর গলা ব্যাথাটা তখনও ছিল। সাহরীতে আরেক ডোজ খেলাম, তাতে ওষুধ শেষ হয়ে গেল। গতকাল সকাল থেকে আমা’র কোন জ্বর নেই কোন গলা ব্যাথা নেই। শরীরে কোন দুর্বলতা নেও। আমি একদম সুস্থ। পুরদোমে সুস্থ। ফা’লিল্লাহিল হাম’দ! আল্লাহর কসম! একটুও বাড়িয়ে বলছি না।

এভাবেই আমি দুইদিনে পুরোদমে সুস্থ হয়েছি। মহান আল্লাহ আমাকে সুস্থ করে দিয়েছেন। এর বাইরে গত পরশু আর গতকাল ইফাতারির পর দুইটা করে কমলালেবু খেয়েছিলাম। আর সাহরীতে একগ্লাস গরম পানি, সাতটি আজওয়া খেজুর আর রাতে ঘুমাবার আগে ম্যাগি স্যুপ খেয়েছি, যে গুলো আমি আগে থেকেই খেতাম। বাহ্যিক উপকরণ গ্রহণ ছাড়া আল্লাহর কাছে প্রচুর দুআ করতাম যেন রমাদ্বানটা অ’সুস্থতায় না কাটে। রুকিয়া করেছি নিজে নিজে। হাল্কা কিছু দান সদাক্বা করেছি। আলহাম’দুলিল্লাহ! যাবতীয় হাম’দ ও সানা একমাত্র আল্লাহর যিনি অ’সুস্থ হলে আমাকে সুস্থতা দান করেন।

ফেসবুক থেকে সংগৃহীত;

প্রতিদিনবিডি২৪/একে আজাদ;

ভালো লাগলে এই পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই কেটাগরির আরো খবর

Categories

© All rights reserved 2020 protidinbd24

কারিগরি সহায়তা WhatHappen